ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁও-খুটাখালী মহাসড়ক দূর্ঘটনায় আর কত লাশ হলেই বালির স্তুপ উচ্ছেদ হবে!

আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও প্রতিনিধি ::
কক্সবাজার -চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও -খুটাখালী মহাসড়ক জুড়ে অবৈধ বালির স্তপে দূর্ঘটনার মিছিল চলছেই।প্রতিনিয়ত কোন কোন স্থানে ঘটছে দূর্ঘটনা । অকালে ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য তাজা প্রাণ ,পঙ্গুত্ব বরণ করছে অসংখ্য মানুষ। প্রশাসন ও প্রভাবশালীরা এসব বালি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের মাসোহারার বিনিময়ে এ অপকর্মের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।সরে জমিনে  দেখা যায়,মহাসড়কের ঈদগাঁও’কালির ছড়া , ইসলামাবাদের খোদাই বাড়ি ,হাঁসের দিঘী,ভাবির দোকান,ইসলামপুরের সাইন বোর্ড , পুরাতন ডুলা ফকির রাস্তার মাথা,নতুন অফিস , খুটাখালীর ফুলছড়ি ছরা,গাজী-কালুর দরগা ব্রীজসহ ডজনাধিক স্থানে সড়কের উভয় পাশ দখল বালির স্তুপ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। সড়কের দু’পাশ দখল করাতে এসব স্থানে ঘটছে নিয়মিত দূর্ঘটনা । সরকার দূর্ঘটনা রোধে সড়কে তিন চাকার গাড়ি চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ করে। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশ এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও মাসের পর মাস সড়ক দখলে বালি মহাল ও এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রহস্যময় কারণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।পথচারী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ,স্থানীয় প্রভাবশালী ও কতিপয় রাজনৈতিক নেতা এসব বালি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক মোটা অংকের চাঁদা হাতিয়ে নিয়ে এ অপরাধ করার সুযোগ করে দিচ্ছে ।যার কারণে সরকার দূর্ঘটনা রোধে নানা পদক্ষেপ নিলেও তা আলোর মুখ দেখছেনা।সচেতন মহলের অভিযোগ , তিন চাকার যানবাহনের চাইতে এ অবৈধ বালির স্তুপ গুলোই দূর্ঘটনার জন্য বেশি দায়ী। কারণ সড়কের দু’পাশে বালির স্তুপের কারণে খালি জায়গা না থাকাতে দুর পাল্লার গাড়ি গুলো অপর গাড়ি গুলোকে ওবার টেক করতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ।এতে নিয়নিত দূর্ঘটনার শিকার হয়ে অকালে জীবন দিচ্ছে যাত্রী ও পথচারীরা। পঙ্গুত্ব বরণ করছে অসংখ্য মানুষ। এরকম কতিপয় বালি মহাল মালিকের সাথে কথা হলে তারা পুলিশ ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের চাঁদা দিয়ে এসব করছে বলে জানান। পথচারীদের অভিযোগ , পুলিশ দূর্ঘটনা রোধের অজুহাতে বিগত কয়েক মাস ধরে তিন চাকার বিভিন্ন শ্রেণীর গাড়ি আটক করে ,পরে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে আসছে।সম্প্রতি দূর্ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ গরীব মানুষের রিক্সা ,অটো রিক্সা বা থ্রী হুইলার গাড়ি মহাসড়কে পেলেই খাল,নদী বা পুকুরে নিক্ষেপ করছে। অথচ অবৈধ মাসোহারার লোভে মহাসড়ক দখলকারী বালির স্তুপ ও এর মালিকদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। সাধারণ জনগণের প্রশ্ন রিক্সা বা থ্রী হুইলার চালকরা কিস্তিতে ক্রয় করে এসব যান চালিয়ে পরিবারের জন্য দু’মুঠো ভাত এবং কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে সারাদিন হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে।তাদের পেটে লাথি মেরে পুলিশ দূর্ঘটনা রোধেরচেষ্টার নামে গাড়ি খাল বিলে নিক্ষেপ করা কোন আইন বা মানবিকতার মধ্যে পড়ে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । অপরদিকে মাস শেষে মোটা অংকের চাঁদার লোভে সড়ক দখলকারী অবৈধ বালি মহাল মালিক দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।প্রশাসনের মানবিক আচরণ যদি এমন হয়, তাহলে কোন অবস্থাতেই সড়কে দূর্ঘটনা রোধ করা যাবেনা। তাই সর্বমহলের দাবি অবিলম্বে মহাসড়ক থেকে এসব অবৈধ বালির স্তুপ উচ্ছেদে উর্ধতন প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উপরোক্ত বিষয়ে ডুলাহাজারা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আলমগীর হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বলেন,তিনি সাধ্যমতো মহাসড়কে এসব বালির স্তুপকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন , তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতা পেলে উচ্ছেদের চুড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে পারবেন। অপরদিকে কক্সবাজার মডেল থানার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন,তড়িৎ এসব অসাধু বালির স্তুপ কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হবে এবং নিজেও এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

পাঠকের মতামত: